1. tatihatibarta@gmail.com : তাতীহাটি বার্তা : তাতীহাটি বার্তা
  2. info@www.tatihatibarta.online : তাতীহাটি বার্তা :
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন

থেমে যাক বালুমহলের বাহাদুরী

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : এম এম মোনাদিল

যখন কেউ না আসে, তখন এগিয়ে আসে কেউ

সমাজের অন্যায়-অবিচার যখন চরমে পৌঁছে, যখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বিকার থাকে, তখনও আশার আলো নিভে যায় না। কারণ ইতিহাস বলে— কেউ না কেউ আসে।

ঠিক যেমনটা ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে নদী, প্রকৃতি আর জীবনের ভারসাম্য রক্ষায় যখন দায়িত্বপ্রাপ্ত অনেকেই নীরব দর্শক, তখন সাহস নিয়ে এগিয়ে এসেছেন একজন অতি সাধারণ তরুণ—শ্রীবর্দির কৃতি সন্তান ব্যারিস্টার শাহাদাত হোসাইন জিকু।

কর্মসূত্রে ঢাকায় বসবাস করা সত্ত্বেও কখনো দেখা যায় একদল তরুণদের নিয়ে সাইকেলিং করতে আবারো ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করে তরুণদের হৃদয়ে ঠায় করে নিয়েছেন তিনি! সেই ধারাবাহিকতায়….

নিজের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে কণ্ঠস্বর হয়েছেন তিনি প্রকৃতির, পরিবেশের এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের পক্ষে।

এ ইতিহাস নতুন নয়।
আমরা দেখি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রথম আওয়াজ তুলেছিলেন মহাত্মা গান্ধী, যখন পুরো জাতি ব্রিটিশ শাসনের অন্যায়ের সামনে নত ছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে নেলসন ম্যান্ডেলা এগিয়ে এসেছিলেন, যখন অধিকাংশ মানুষ ভয়ে চুপ ছিল।
আমাদের বাংলাদেশেও ভাষা আন্দোলনে, মুক্তিযুদ্ধে বারবার সাধারণ মানুষই রাস্তায় নেমেছে— ইতিহাস রচনা করেছে।

ব্যারিস্টার জিকুর সাহসী অবস্থান আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, ন্যায়ের জন্য লড়াই করতে বিশাল বাহিনী লাগে না, লাগে শুধু দৃঢ় মনোবল আর সাহস। যখন অন্যেরা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখন একজন মানুষের উচ্চারণও সমাজ বদলাতে পারে।

আজকের দিনে আমাদের সমাজের প্রতিটি অন্যায়, অব্যবস্থা, অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে একজন শাহাদাত হোসাইন জিকু হয়ে দাঁড়ানোর প্রয়োজন।
কারণ, প্রকৃতি হোক বা মানবতা— রক্ষা পেতে হলে কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতেই হবে। তেমনি সমাজে অবদান রাখা এক স্বপ্নবাজ তরুণের (ব্যারিস্টার শাহাদাত হোসাইন জিকু) বালুমহল নিয়ে তার ব্যক্তিগত কিছু অভিব্যক্তি প্রকাশ করা হলো :

আলহামদুলিলাহ।
শেরপুর জেলার, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী বালুমহলসমূহ বিলুপ্ত ঘোষণা। উল্লেখ্য, শ্রীবরদী থানার অন্তর্গত কোন বৈধ বালুমহল আগে থেকেই ছিলো না। তারপরেও, শ্রীবরদী থানার অন্তর্গত সোমেশ্বরী নদী এবং ঢেউফা নদী থেকে যে অবৈধ বালু উত্তোলন হতো, তাদের রয়্যালিটি দিত, ঝিনাগাতী থানার অন্তর্গত বালুমহলদুটি। সুতরাং, কোনটা বৈধ এবং কোনটা অবৈধ তা প্রসাশনের পক্ষে চেক দিয়ে ধরা কষ্টকর ছিলো। এমতবস্থায়, যেহেতু, শ্রীবরদী থেকে নালিতাবাড়ি পর্যন্ত সুদীর্ঘ পাহাড়ী অঞ্চলজুড়ে কোন বালুমহল নাই, তাই এই পাহাড়ি অঞ্চল থেকে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। এই লড়াইয়ে সামনে থেকে নের্তৃত্ব দিয়েছে সংবাদমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ছাত্র-জনতা। সবাইকে অভিনন্দন। আমি বিশ্বাস করি, এইটা প্রাথমিক সফলতা- এখন এই সিন্ডিকেট তারা আইনি লড়ায়ে নামতে পারে। আমরাও প্রস্তুত আছি। দরকার হলে, আমরা আদালতে এবং রাজপথে এই আন্দোলন চলমান রাখবো। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, এই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত আমরা সরাসরি আপনাদের পাশে পাইনি- আমরা বিশ্বাস করি, এই দেশ এবং নিজ এলাকার প্রতি, বিশেষ করে আপনাদের নির্বাচনী এলাকার মানুষের প্রতি আপনাদের দায়বদ্ধতার জায়গা অপিরিসীম। সুতরাং, যদিও আপনারা এখন পর্যন্ত নির্বাচিত না, কিন্তু আপনারা জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে না। আপনারা নির্বাচিত হয়ে কেমন শেরপুর জেলা উপহার দিতে চান, সেই জবাব দিতে আপনারা বাধ্য। এখন, এই প্রজ্ঞাপনের সত্ত্বেও যদি অবৈধ বালু উত্তোলন চলমান থাকে, আশা করি- আপনারা নিজ দায়িত্বে এই আন্দোলনে শরিক হবেন। না হয়, যারাই এই অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে যুক্ত থাকবেন, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে ইনশাআল্লাহ। দয়া করে ইউএনও সাহেব, শ্রীবরদী এইবার আপনার দায়িত্ব পালন করবেন। বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ডিসি শেরপুরকে আপনার এই মহৎ উদ্যোগকে শেরপুরবাসী শ্রদ্ধার সাথে মনে রাখবে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট